ঘরের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বাংলাদেশের

ban1292024_563774

ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল তারা। জবাবটা আইরিশরা জমিয়ে রেখেছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য। বিশ ওভারের ম্যাচে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের পাত্তাই দিলো না গ্যাবি লুইসের দল। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল তারা।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সোবহানা মোস্তারির চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই ১২৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড।

শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। স্বর্ণা আক্তার বোলিংয়ে এসে শুরুতেই আরলেনে কেলিকে রান আউটের ফাঁদে ফেললে জয়ের স্বপ্ন জোরাল হয় বাংলাদেশের। তবে পরের চার বলে টানা তিন বাউন্ডারিতে ১৪ রান নিয়ে জ্যোতিদের আশা ভরসা শেষ করে দেন লাউরা ডেলানি। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৩৬ রানে।

See also  ১৭ বছর পর ফিফ বিশ্ব একাদশ থেকে বাদ পড়লেন মেসি

আইরিশদের রান তাড়ার শুরুটাও ছিল দারুণ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তোলেন অ্যামি হান্টার ও গ্যাবি লুইস। ২৮ রান করে হান্টারের বিদায়ে ভাঙে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে লুইসও বিদায় নেন।

এরপর আইরিশ নারীদের ওপর ঝেঁকে বসে বাংলাদেশ। লিয়া পলকে শূন্যতেই বিদায় করেন মুর্শিদা খাতুন। ওর্লা প্রেন্ডারগাস্ট ১১ রান করে সীমানায় ধরা পড়েন রাবেয়ার বলে। এরপর দলকে এগিয়ে নেন ডেলানি ও রেবেকা স্টোকেল।

ভালো বোলিং করে রান রেটের চাপ বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দুই ওভারে যখন প্রয়োজন ২১ রান, নাহিদার বলে বোল্ড হয়ে যান স্টোকেল। ১৯ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের হাতে তখন ম্যাচ। এমন অবস্থায় এক ক্যাচ মিসেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ ওভারে ডেলানির দারুণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাজে ক্যাচিংয়ে কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে আইরিশরা।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এক সময়ে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। ১৩.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ১০৪। হাতে উইকেট রেখে শেষ ৩৯ বলে আক্রমণ চালাবে এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু, পথ ভুলে ছন্দ হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে মাত্র ১৯ রান। শেষ ৮ ওভারে বাংলাদেশ পায়নি কোনো বাউন্ডারি।

See also  ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যদের শনাক্তে কাজ চলছে: আইজিপি

ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা খারাপ ছিল না। দুই ওপেনার সোবহানা মোস্তারি ও মুর্শিদা খাতুন ৪ ওভারে ৩৩ রান তোলেন। পাওয়ার প্লেতে রান ছিল ৪৯। মুর্শিদা তেমন আলো ছড়াতে না পারলেও সোবহানা দলের প্রত্যাশা মেটান। ১২ বলে ১২ রান করে মুর্শিদা আউট হন পেসার পেনডারগাস্টের বলে। দ্বিতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন শারমিন ও সোবহানা। দুজনের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের রান শতরান পেরিয়ে যায়।

নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারির পাশাপাশি সিঙ্গেলস ও ডাবলসে রান তোলেন। থিতু হওয়ার পর তারা যখন আক্রমণে যাচ্ছিলেন তখনেই আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ফেরে। বাঁহাতি স্পিনার মাগুরে পরপর দুই ওভারে দুই জনকে আউট করেন। শারমীন আক্তার সুপ্তা ৩৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করে স্টাম্পড হন। পরের ওভারে সোবহানা ৪৩ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করে এলবিডব্লিউ হন।

৩ রানের ব্যবধানে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানকে হারানোয় বাংলাদেশের রানের গতি আবার কমে আসে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। পরের ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ পারেনি দুই অঙ্কের ঘরে যেতে। অধিনায়ক জ্যোতি হতাশ করেছেন। ১৬ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন।

আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন পেনডেরগাস্ট। ৪ ওভারে ২২ রানে তার শিকার ৪ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *